মোঃ আশিকুর রহমান(টুটুল),নাটোর জেলা প্রতিনিধি,
নাটোরের লালপুর উপজেলার চকনাজিপুর গ্রামের সোহেলার রানা নামক
এক যুবক পেয়ারা বাগানের চাষ করে আর্থিক ভাবে স¦াবলম্বী । সে
এখন একজন সফল পেয়ারা চাষী । ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে সরজমিনে ,
চকনাজিপুর গ্রামের মৃত্যু আসাদুজ্জামানের ছেলে সোহেল রানা ২০১৩
ইং সালে নিজের মাত্র ২ বিঘা জমি নিয়ে পেয়ারা বাগানের চাষ শুরু করে।
প্রথম বৎসরে তার ২ বিঘা পেয়ারা বগানের জমিতে ১ লাখ ৩০ হাজার
টাকা খরচ হয় । এক বৎসর পেয়ারা বাগানের চাষ করে কোন প্রকার
মুনাফাই আসেনি । দ্বিতীয় বৎসর পেয়ারা চাষ করে, সব খরচ বাদ দিয়ে,
পাইকারী বিক্রয় করে ২ লাখ টাকা লাভ হয় । তাকে আর পিছনে ফিরতে
হয়নি । শুরু হয় সামনের দিকে এগিয়ে চলার যুদ্ধ । বর্তমানে তার নিজের
জমি ৮ বিঘা । আর লিজ জমি ৮৭ বিঘা। মোট ৯৫ বিঘা জমিতে সে
পেয়ারা চাষ করছে । তার বাগানে পেয়ারা উঠানোর জন্য ৪০ থেকে ৫০ জন
দিনমুজুর লাগে । বাগান থেকে প্রতি বিঘা জমিতে ৫০- ৬০ মন
পেয়ারা উঠানো হয় । এতে প্রতি বিঘা পেয়ারা চাষ করতে ৬০ হাজার
টাকা খরচ হয় । সব খরচ বাদ দিয়ে বৎসর শেষে পেয়ারা বিক্রয় করে প্রতি
বিঘা জমিতে ১ লাখ টাকা করে লাভ হচ্ছে । তার পেয়ারা বাগানের চাষ
দেখে, এলাকার বেকার যুবকরা পেয়ারা চাষে এগিয়ে আসছে । সোহেল
রানা এখন একজন সফল পেয়ারা চাষী ও আর্থিক স্বাবলম্বী ।
এব্যপারে
সোহেল রানা বলেন, প্রথমে ২ বিঘা নিজের জমিতে পেয়ারা বাগানের
চাষ করি । প্রথম বৎসরে কোন প্রকার মুনাফা পায়নি । মন খারাপ হয়ে
যায় । ধর্য্য সহকারে পেয়ারা গাছের যতন্ন নিতে থাকি । পরের বৎসর
গাছে পেয়ারা আসে । সব খরচ বাদ দিয়ে ২ লাখ টাকা আমার লাভ হয় ।
বর্তমানে আমার নিজের ৮ বিঘা ও লিজ নেওয়া ৮৭ বিঘা জমি আছে।
মোট জমির পরিমান ৯৫ বিঘা। খরচ বাদ দিয়ে আমার প্রতি বিঘা
জমিতে ১ লাখ টাকা করে লাভ থাকে । আমি এখন একজন সফল পেয়ারা
চাষী এবং আর্থিক ভাবে স্বালম্বী । এব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা
হাবিবুল ইসলাম খাঁন বলেন, সোহেল পেয়ারা চাষ করছে এটি ভালো
উদ্দ্যোগ । পেয়ারা চাষ লাভ জনক ফসল । তার পেয়ারা চাষ দেখে, এলাকার
বেকার যুবকরা পেয়ারা চাষে এগিয়ে আসছে । এতে এলাকা বেকার
সম্যসা দুর হচ্ছে ।