রুবেল মাদবর
মুন্সিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি : মুন্সিগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে চলন্ত লঞ্চে যাত্রী উঠা নামা করছে। এই অবৈধ কাজে মুন্সিগঞ্জ টার্মিনাল ইজারাদার জড়িয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যে কোন সময় এখানে বড় ধরণের দুর্ঘটনায় জীবন হানির ঘটনা ঘটতে পারে। বছরের পর বছর এখানে নিয়মিতভাবে অবৈধ কাজে অনেকেই লিপ্ত থাকলেও প্রশাসন এখানে নিরব রয়েছেন।
খোদ মুন্সিগঞ্জ জেলা জজের বিচারকরা এভাবে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন বলে অনেকেই অভিযোগ উঠেছে। মুন্সিগঞ্জের অফিসগামী অনেক অফিসাররা প্রতিদিন নদী পথে ঢাকা থেকে লঞ্চে করে মুন্সিগঞ্জে আসেন। তারা মাঝ নদীতে লঞ্চ থেকে ট্রলারে করে পাড়ে আসেন। আবার বিকালে তারা এইভাবেই ঢাকায় ফিরে যান।
আবার অনেকেই ঢাকায় চাকরি করতে অনুরূপভাবে যাতায়াত করছেন। কিন্তু এই যাতায়াত মারাতœক ঝুঁকিপূর্ণ। আবার পথটিও অবৈধ। আগে ট্রলারে করে লঞ্চঘাট থেকে রুটি ও কলা বিক্রেতারা ঝুঁকি নিয়ে এ ব্যবসা করতো। তখন জরুরি প্রয়োজনে কিছু যাত্রি সেই নৌকা করে লঞ্চে যেতো। তা ছিল একেবারেই সীমিত আকারে।
কিন্তু সময়ের যাতাকলে পরে এখন এর পরিবর্তন ঘটেছে। সড়ক পথে ভয়াবহ যানজটের কারণে মানুষ ঝুঁকি নিয়ে এই পথ বেছে নিয়েছে। দিনে দিনে এ পথের যাত্রি এখন অনেক বেড়ে গেছে। আগে যাত্রিরা ৫ টাকায় এ পথে যেতে পাড়তো এখন সেখানে ১৫ টাকা দিতে হচ্ছে।
যাত্রি বেড়ে যাওয়ার কারণে লঞ্চ ইজারাদার আর কোন রুটি ও কলার নৌকায় যাত্রিদের উঠতে দিচ্ছে না। নিজেই এ কাজের জন্য দু’টি ট্রলার রেখেছেন যাত্রী উঠানামানোর কাজে। এতে ইজারাদারের একটু বাড়তি ইনকাম বেড়েছে। তবে এই জন্য তাকে আর বাড়তি সরকারকে কোন রাজস্ব দিতে হয় না। ফলে ইজারাদার রাজস্ব ফাঁিক দিয়ে লক্ষ টাকা কমিয়ে নিচ্ছেন।
ঢাকা থেকে বরিশালগামী লঞ্চগুলো সাধারণত মুন্সিগঞ্জ লঞ্চ টার্মিনালে ভিরে না। কারণ এখানটায় এই লঞ্চ যাত্রীদের কোন ব্যবসায়িক সুবিধা নেই। এ কারণে এখানে বেশিরভাগ লঞ্চ ঘাট ধরে না। এছাড়া এখানে লঞ্চ থামলে ইজাদারকে টাকা দিতে হয়। বাড়তি টাকা গুনার ভয়ে লঞ্চ মালিকরা এ পথ এড়িয়ে চলেন।
ইজারাদারদের বাড়িত আয়ের জন্য চলন্ত লঞ্চে যাত্রী উঠা নামা করাচ্ছে। যাত্রীদের পল্টুনে নামতে না দিয়ে পল্টুনের পশ্চিম পার্শ্বে নামিয়ে দেয়া হয়। ফলে যাত্রীদের নারায়নগঞ্জ বা অন্য কোথাও যেতে হলে ঘাটের টাকা দিয়ে লঞ্চে উঠতে হয়। জীবনের ঝুকি এবং বাড়তি টাকা না নিয়েই যাতে মুন্সিগঞ্জ থেকে যাত্রীরা বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করতে পারে তার ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মুন্সিগঞ্জের প্রশাসন এমনটাই আশা করছে মুন্সিগঞ্জের যাত্রীরা।,