ক্রীড়া ডেস্ক : বাংলাদেশের জন্য পয়মন্ত ভেন্যু চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম কখনো নিরাশ করেনি টাইগারদের। আজও করেনি।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৭ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করেছে। ২৭৮ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করছে ইংল্যান্ড।
ষষ্ঠ উইকেটের পতন : মাশরাফির বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড-অনে ধরা পড়েন মঈন আলী (১)।
পঞ্চম উইকেটের পতন : ২২৭ রানের মাথায় মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে যান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার (২৫)। মাশরাফির বল তার ব্যাট ছুঁয়ে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়।
চতুর্থ উইকেটের পতন : দলীয় ১৭৯ রানের মাথায় শফিউলের করা বলে স্কুপ করতে গিয়ে মুশফিকুর রহিমের হাতে ধরা পড়েন ডাকেট। অসাধারণ দক্ষতায় ক্যাচটি লুফে নেন মুশফিক। সাজঘরে ফেরার আগে ৬৮ বলে ৪চার ও ১ ছক্কায় ৬৩ রান করেন ডাকেট।
তৃতীয় উইকেটের পতন : দলীয় ১৭২ রানের মাথায় শফিউল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে যান জনি বেয়ারস্টো (১৫)।
দ্বিতীয় উইকেটের পতন : দলীয় ১২৭ রানের মাথায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ স্কয়ার লেগে ইমরুল কায়েসের হাতে ধরা পড়েন স্যাম বিলিংস। যাওয়ার আগে তিনি ৬৯ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৬২ রান করে যান।
ইংল্যান্ডের প্রথম উইকেটের পতন : উদ্বোধনী জুটিতে জেমস ভিন্স ও স্যাম বিলিংস মিলে ৬৩ রান সংগ্রহ করেন। তাতে ভালো সূচনা পায় ইংল্যান্ড। কিন্তু বল হাতে এসেই এই জুটি ভাঙেন নাসির হোসেন। তার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান জেমস ভিন্স (৩২)।
এই মাঠে দুই শতাধিক রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড আছে মাত্র দুটি। তবে ২২৫ রানের বেশি তাড়া করে কোনো জয়ের রেকর্ড নেই। দেখার বিষয় ইংল্যান্ড এই রান তাড়া করে জয় পায় কিনা। তবে ২৭৭ রান কিন্তু বাংলাদেশের জয়ের পক্ষেই কথা বলছে।
বাংলাদেশের ইনিংসে ব্যাট হাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন মুশফিকুর রহিম। তিনি ৬২ বলে ৪টি চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৬৭ রানের মহামূল্যবান ইনিংস খেলেন। ৪টি চার ও ১ ছক্কায় ৫৮ বলে ৪৬ রান করেন ইমরুল কায়েস।
৫টি চারের সাহায্যে সাব্বির রহমান করেন ৪৯ রান। আর সমসংখ্যক চারের মারে ৪৫ রান করেন তামিম ইকবাল। মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ৩৯ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনি সপ্তম উইকেট জুটিতে মুশফিককে যোগ্য সঙ্গ দেন।
বল হাতে ইংল্যান্ডের আদিল রশিদ ৪টি উইকেট নিয়েছেন। ১টি করে উইকেট শিকার করেছেন বেন স্টোকস ও মঈন আলী।