মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি: টঙ্গীবাড়ীতে প্রেম সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় খুন হওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মিরাজ সরকারকে প্রধান আসামী করে মঙ্গলবার রাতে ৯ জনের নামে এ মামলা দায়ের করেছে নিহতের পিতা নজরুল ইসলাম। এদিকে এই হত্যাকান্ডের সাথে এলাকার কয়েক প্রভাবশালী পরিবারের লোকজন জড়িত বলে উল্লেখ করে মামলার বাদী নজরুল ইসলাম জানান, ওই প্রভাবশালীদের নামে আমরা অভিযোগ করলেও পুলিশ রহস্যজনক কারনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি। এদিকে নিহতের চাচা নুরুল ইসলাম ঢালী জানান, আমরা থানায় অভিযোগ করার আগে স্থাণীয় এক নেতার সাথে দেখা করে আমাকে তারপর থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বলেছে খুণিদের স্বজনেরা। আমি ওই নেতার সাথে দেখা না করায় আমাকে মোবাইল ফোনে হুমকী দিচ্ছে। এদিকে বাদী অভিযোগ করে বলেন এ ঘটনায় এলাকার প্রসান্ত সাহা নামে এক ব্যাক্তিকে এলাকাবাসী ধরিয়ে দিলে পুলিশ বলে তার কাছে ব্যাপক তথ্য পাওয়া যাবে। কিন্তু তথ্য উদ্ধারের জন্য ওই আসামীকে রিমান্ডে না নিয়ে পুলিশ তাকে উল্টো ছেড়ে দিয়েছে। সরেজমিনে নিহত ফয়সালের বাড়ি গেলে ওই এলাকার মানুষের মধ্যে কান্নার রোল পরে যায়। পুলিশের রহস্যজনক আচরণে তারা নায্য বিচার পাবে না বলে হতাশা প্রকাশ করে প্রকৃত খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। এদিকে আহত আকাশ ও মাসুম ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে নিবির পরিচর্যায় রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে তাদের স্বজনরা জানিয়েছে। উল্লোখ্য উপজেলার নয়াদিঘির পাড় গ্রামের এক কলেজ ছাত্রীকে একই গ্রামের মিরাজ এবং পার্শ্ববর্তী সদর উপজেলার নোয়দ্দা ঢালী কান্দি গ্রামের ফয়সাল প্রেমিকা দাবি করে আসছিলো। এ নিয়ে দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্বে সোমাবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে উপজেলার পুড়া বাজারের আনন্দ দাশের বাড়ির সামনে অস্ত্রসস্ত্রসহ ফয়সালের উপর হামলা চালায় মিরাজ ও তার লোকজন। এতে ঘটনাস্থলই ফয়সাল (২১) মৃত্যূ বরণ করে এবং শাহিন (২৫), আকাশ(২২) এবং মাসুম (১৭) গুরুতর আহত হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তারেকুজ্জামান জানান, বাদী যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে আমরা তাদের বিরুদ্ধেই মামলা নিয়েছি। প্রসান্ত সাহাকে ওই এলাকার কতিপয় ব্যাক্তি ধরিয়ে দিয়েছিলো কিন্তু আমরা তদন্ত করে দেখি সে একজন শারীরিক প্রতিবন্ধি এ জন্য তাকে ছেড়ে দিয়েছি।