শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৪:৩২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সুপারী চাষীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৯৩ বার পড়া হয়েছে

 

 

 

 

 

এস.এম.সাইফুল ইসলাম কবির, বিশেষ

প্রতিনিধি ; দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বাগেরহাট

খুলনা, যশোর, নড়াইল,সুপারী চাষীরা ন্যায্য মূল্য

থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। একদিকে ফলন কম অন্য দিকে

সুপারীর বাজার দর থাকায় কৃষকরা চরম দূর্দিনের

মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার কৃষি জমির এক

তৃতীয়াংশ ভূমিতে সুপারী চাষ করে চাষীরা বাম্পার

ফলনের আশায় সুপারী মৌসুম পর্যন্ত অপেক্ষা করে।

গত বছর ভাল ফলন হলেও পানির দরে সুপারী বিক্রি হওয়ায়

চরম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সুপারী চাষীরা। এবারে

ভেবেছিলে সুপারীর ন্যায্য মূল্য পাওয়া যাবে কিন্তু

বাজারে পানির দরে সুপারি বিক্রয় করা যাচ্ছেনা।

কারন হিসাবে চাষীরা জানান বিদেশী সুপারীর

আমদানীর ফলে দেশীয় সুপারীর কোন চাহিদা বাজারে

না থাকায় বাজার দরের এই বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

একদিকে বিদেশী সুপারীর গুনগত মান এবং

অপেক্ষাকৃত বড় সাইজের হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে

বিদেশী সুপারী চাহিদা বেশী থাকায় দেশীয়

সুপারী চাষীরা মার খাচ্ছে। আবার সুপারীর বাজারে

এক শ্রেনী মধ্য স্বত্ব ভোগী হারিয়াদের দৌরাত্বে

সাধারন চাষীরা ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

দক্ষিনাঞ্চলের ধান, পান ও সুপারী এই তিন নিয়ে

বিখ্যাত উপজেলা গুলোর মধ্যে সুপারী চাষে শীর্ষ স্থান

দখল করে মোরেলগঞ্জ উপজেলা। এখানে থেকে প্রতি

বছর মৌসুমে কয়েক হাজার কোটি টাকার পাকা ও

শুকনো সুপারী দেশে বিদেশে রপ্তানী করা হয়।

এ অঞ্চলের সুপারীর পাকা মৌসুম ভাদ্র থেকে

কার্তিক মাস পর্যন্ত তিন মাস ধরে সমানতালে

সুপারী বেচা কেনা ও সংগ্রহ করা হয়। এবং শুকনো

মৌসুম ফাল্ধসঢ়;গুন থেকে সারা বছরই কম বেশী চলতে

থাকে। গত বছর স্থানীয় ভাষায় ১০টির ১ ঘা ২১ শে ঘা

কুড়ির ৫ কুড়ি সুপারীর দাম ৮-৯ শত টাকা ছিল।

বর্তমান বাজারে তার অর্ধেকেরও কম দামে নেমে

এসেছে। ফলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সুপারী

চাষীদের মধ্যে। এ ব্যাপারে ব্যবসায়ী আব্দুল কাদের

ফরাজী জানান,গত বছর ১ লক্ষ সুপারী কিনে এ বছর

তা ৬০ হাজার টাকায় তা বিক্রি করতে পারছেন না।

ফলে ছোট বড় স্থায়ী ব্যবসায়ীরা পথে বসে উপক্রম

হয়েছে।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451