প্লাবন গুপ্ত শুভ, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের পুনট্টি ইউনিয়নের গমিরাহাটের সংযোগ সড়কে
ভেলামতি নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হওয়ায় স্বপ্নপূরণ হয়েছে নদীর দুই পাড়ের ২০
গ্রামের মানুষের। এতে করে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হওয়ায় সেতুর
দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ অধিদপ্তরের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে ৬০লাখ
৪৬হাজার ৯০৯ টাকা ব্যয়ে এই ভেলামতি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ভেলামতি নদীর ওপর সেতু না থাকায় নদীর দুই
পাড়ের উপজেলার
গোবিন্দপুর, বিশ্বনাথপুর, দোয়াপুর, তুলশীপুর, পুনট্টি, মথুরাপুর, করঞ্জি,
পাটাইকুঁড়ি, কালীগঞ্জ, ভবানীপুর, কেশবপুর, সিন্দুরা, হরানন্দপুরসহ আশপাশের
২০ গ্রামের লক্ষাধিক মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হতো। গ্রামের
শিক্ষার্থীদেরকে ঝুঁকি নিয়ে কলার ভেলায় নদী পারাপারের মাধ্যমে স্কুল-কলেজে
যাতায়াত করতে হতো। কৃষকদের উৎপাদিত পণ্য হাটবাজারে নিতে যানবাহন
চলাচল ব্যবস্থা না থাকায় নামমাত্র মূল্যে স্থানীয়ভাবেই বেচাকেনা করতে হতো।
গোবিন্দপুর গ্রামের আজিজুল হক শাহ বলেন, সেতুটি নির্মাণ হওয়ায়
শিক্ষার্থীদের কষ্ট লাঘবের পাশাপাশি ব্যবসা-বানিজ্যে নতুর দ্বার উন্মোচিত
হয়েছে।
গমিরাহাট গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা আব্দুল ওহাব, আজিজার রহমান ও হামিদুল
হক বলেন, সেতু নির্মাণ হওয়ায় এখন তাদের উৎপাদিত শাকসবজিসহ অন্যান্য
কৃষিপণ্য খুব সহজেই পার্শ্ববর্তী আমবাড়ি ও ফুলবাড়ি হাটে তোলা সম্ভব
হচ্ছে। সেখানে পণ্য বেচাকেনা করে আগের তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হওয়া
যাচ্ছে।
ইউপি চেয়ারম্যান নূর-এ- কামাল বলেন, নবনির্মিত ভেলামতি সেতুটি
এলাকার সর্বস্তরের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা একেএম মমিনুল হক বলেন, শুধু
ভেলামতি নয উপজেলার বিভিন্ন নদীতে গত অর্থবছরে এমন আরও ১৫টি সেতু
নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে জেলা ও উপজেলাসহ দেশের সকল স্থানের সাথে
যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটেছে।