নুরুল আলম ডাকুয়া সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
উপজেলায় তিস্তার নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনের শিকার হয়ে ঘরবাড়ি, বসতভিটা হারিয়ে শত শত
পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা গেছে, বন্যার পানি কমে যাওয়ার সাথে সাথেই তিস্তা নদীতে তীব্র বাঙ্গন
দেখা দেয়। নদীর এই তীব্র বাঙ্গন এ পর্যন্ত ৭’শ পরিবার ঘরবাড়ি, বসতভিটা হারিয়ে
খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে
হাজার-হাজার হেক্টর আবাদি জমি, গাছপালা, পানের বরজ ও বাঁশঝাড়। ভাঙ্গন কবলিত এলাকা
গুলো হচ্ছে- তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, চন্ডিপুর, কঞ্চিবাড়ি, শ্রীপুর, ও কাপাসিয়া
ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা, লাটশালা, চর তারাপুর, বেলকা, বেলকা নবাবগঞ্জ, মধ্য বেলকা, কানি
চরিতাবাড়ি, চরিতাবাড়ি, চর মাদারীপাড়া, পাড়াসাদুয়া, হাজারির হাট, কাশিমবাজার,
রাঘব,হরিপুর ঘাট, বোচাগাড়ি, উজান বোচাগাড়ি, কালিরখামার, ছয়ঘড়িয়া, বাবুর
বাজার, উজান বুড়াইল, ভাটি বুড়াইল, পূর্ব লাল চামার, বাদামের চর, কাজিয়ার চর ও
কাপাসিয়া। নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবারগুলোকে এক হাজার করে টাকা দেয়া হয়েছে।
কাপাসিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মঞ্জু মিয়া জানান, বর্তমানে ভাটি বুড়াইল, পূর্ব
লালচামার ও উজান বুড়াইলে নদী ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, তার
ইউনিয়নে এ পর্যন্ত ৫১১টি পরিবার বিলিন হয়েছে। এর মধ্যে ৪৯৬টি পরিবারের তালিকা
উপজেলা অফিসে জমা দেয়া হয়েছে। হরিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাহারুল ইসলাম
জানান, চর মাদারীপাড়া, হাজারীর হাট এলাকায় নদী ভাঙ্গনে ১৫০ পরিবার বিলিন হয়েছে।
এছাড়া চন্ডিপুর, বেলকা ও তারাপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে নদী ভাঙ্গনে ৫০ পবিার
বিলিন হয়েছে। নদী ভাঙ্গনে ১০ কোটি টাকার অধিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। উপজেলা
নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত হাবিবুল আলম জানান, নদী ভাঙ্গনের শিকার পরিবার গুলোকে
পর্যায়ক্রমে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।