রুবেল মাদবর,
মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:
মুন্সিগঞ্জে সিএনজি চালিত অটোরিকসা থেকে শ্রমিক নেতাদের চাঁদা আদায় বন্ধ করে দিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম। মুন্সিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন স্পট থেকে সিএনজি চালিত অটোরিকসা থেকে চাঁদা আদায় করতেন শ্রমিক নেতারা। সিএনজি চালিত অটোরিকসা চালকদের থেকে বাধ্যতামূলকভাবে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা কিছু নেতা প্রতিদিন মুক্তারপুর, জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সামনের স্ট্যান্ড, কোর্ট স্ট্যান্ড, সিপাহীপাড়া স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ৬০ হাজার টাকা চাঁদা উঠানো হতো। চাঁদার টাকা ভাগভাটোয়ারা নিয়েও বিভিন্ন সময় মারামারি-হানাহানিও হয়েছে।
পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম মুন্সিগঞ্জে যোগদানের পর সাধারণ মানুষের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন। জায়েদুল আলমের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের প্রশংসা করছেন মুন্সিগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। তার তত্বাবধানে এজহারভুক্ত আসামীও গ্রেফতার হয়েছে সবচেয়ে বেশী।
অটোরিকসার চাঁদাবাজী বন্ধ হওয়ায় শ্রমিক লীগের নেতা আবুল কাশেম পুলিশ সুপার জায়েদুল আলমের প্রশংসা করে বলেন, জেলা পুলিশ সুপার চাঁদাবাজী বন্ধ করে নিশ্চিত একটা ভালো কাজ করেছেন। তিনি বলেন, মুক্তারপুর, সিপাহীপাড়া, কোর্টপাড়াস্থ সিএনজি স্টেশনে চাঁদাবাজীর মাধ্যমে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা প্রতিদিন উঠানো হতো। পুলিশ সুপারের নির্দেশে সেটা বন্ধ হয়েছে।
কাচারী চত্বরের সড়কের মধ্যে অনেক দোকান ছিল সেগুলোও তিনি উঠিয়ে পরিবেশ সুন্দর করেছেন। উত্তর ইসলামপুর পিটিআই সড়কের ভিতরে রাস্তার অনেকগুলো দোকান বসে সড়ক অবরুদ্ধ করে ফেলেছিল সেগুলো পুলিশ সুপারের নির্দেশে উঠে গেছে। উত্তর ইসলামপুরে বসবাসকারী মাসুদরানা জানান, পিটিআই স্কুলের রোডের অবৈধদখলদার দোকানদারদের উচ্ছেদের ফলে মানুষের চলাচলে একটা প্রাণ ফিরে পেয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, সড়কের মধ্যেই সিএনজি থেকে চাঁদা তুলতে দেখে বিষয়টির ব্যাপারে কড়া নির্দেশ দেই। সড়কের মধ্যে কোন চাঁদাবাজী চলবে না। এ ব্যাপারে কোন ছাড় নেইয়।