মোঃ আশিকুর রহমান(টুটুল),নাটোর জেলা প্রতিনিধি:
নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে ডলি বেগম (৪৬) নামের
এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারই সতীন সালমা বেগম (৪০) এর
বিরুদ্ধে। তবে পুলিশ প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা করেছে।
এঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ডলি বেগম উপজেলার
পেড়াবাড়িয়া গ্রামের সামসুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী।
নিহত ডলির চাচা জাহিদুর রহমান জানান, প্রায় ২৭ বছর পূর্বে ডলির
সাথে সামসুলের বিয়ে হয়। এক ছেলে ও মেয়ে নিয়ে তাদের সংসার চলছিল।
হঠাৎ বছর দেড়েক পুর্বে ধর্মান্তরিত করে সালমা বেগম নামের এক নারীকে
সামসুল আবার বিয়ে করে। দুই স্ত্রীকে একই মহল্লার দুই বাড়িতে রেখে দেয়।
এনিয়ে মাঝে মধ্যেই দুই সতীনের মধ্যে বিবাদ হতো। বিবাদের জের ধরেই
সতীন সালমা বেগম তার ভাতিজি ডলিকে হত্যা করেছে বলে তিনি
অভিযোগ করেন।
নিহতের ছেলে রাকিবুল জানান, পারিবারিক ঘটনার জেরে বুধবার সকাল
সাড়ে ৭ টার দিকে তার মা ডলি বেগম সতীন সালমার বাড়িতে যান। এরপর
জানতে পেরে মাকে খুঁজতে সৎ মা সালমার বাড়িতে গেলে রাকিবকে ওই
বাড়িতে প্রবেশে বাধা দেয় সালমার সহযোগীরা। পরে জোর পুর্বক
বাড়িতে প্রবেশ করে তালাবদ্ধ ঘরের দরজা ভেঙ্গে চৌকির ওপর বসা অবস্থায় মা
ডলি বেগমকে রশিতে ঝুলিয়ে থাকতে দেখতে পান। মা অচেতন আছে ভেবে
রাকিবুল রশি কেটে দ্রুত বাগাতিপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত
চিকিৎসক ডলিকে মৃত ঘোষনা করে। পারিবারিক কলহের জেরে তার মাকে তার
সৎমা সালমা বেগম পুর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে বলে তিনি অভিযোগ
করেন।
এদিকে ডলির ভাই স্বপন ইসলাম মটর জানান, এ ঘটনায় তিনি নিজে বাদি
হয়ে বোনের সতীন সালমা বেগম ও স্বজনদের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি
নিচ্ছেন।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান,
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে এবং নিহতের মরদেহটি উদ্ধার
করে ময়না তদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এঘটনায় প্রাথমিকভাবে একটি ইউডি মামলা হয়েছে। তবে অভিযোগ
পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই
গ্রামের আসকান হোসেনের স্ত্রী বিলকিস বেগম (২৫) নামের একজনকে
আটকের কথাও জানান তিনি।