মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

সুন্দরগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের বিরোদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক জালিয়াতির অভিযোগ।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৬
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

 

 

নুরুল আলম ডাকুয়া সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নতুন দুলাল ভরট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরোদ্ধে

শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ চাপের মুখে প্রধান শিক্ষক এলাকা

ছাড়া শ্রেণী পাঠদানে বিঘœ, বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ।

জানা গেছে উপজেলার কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের দুলাল গ্রামে অবস্থিত নতুন দুলাল ভরট দ্বি-

মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০০০ইং সালে সহকারি শিক্ষক হিসাবে ছামছুল হকসহ ৩জন

নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সহকারি শিক্ষক ছামছুল হক যথারিতি বিদ্যালয়ে পাঠদান করে

আসছে। দীর্ঘ ১৬ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি প্রধান শিক্ষকের অনিয়মের কারণে

সরকারি বেতন ভাতা ভুক্ত হতে পারেন নি। বিগত ২০১৫ সালে সরকার এক প্রজ্ঞাপনে

শিক্ষক নিয়োগে এনটিআরসির অধিনে প্রবিধিমালা জারি করেন ফলে শিক্ষক

নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। উক্ত বিদ্যালয়ে ৩১ শে ডিসেম্বর ২০১৩ ইং সালে

ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অবিভাবক সদস্য নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের

বৈধতার প্রশ্ন তুলে অবিভাবক লুৎফর রহমান ও প্রতিষ্ঠাতার বিষয়ে মগবুল হোসেন বাদি

হয়ে বিজ্ঞ আদালতে পৃথক ২টি মোকদ্দমা দ্বায়ের করিলে বিজ্ঞ আদালত মোকদ্দমা ২টি

আমলে নিয়ে কমিটির উপর নিশেধাজ্ঞা জারি করেণ। সুচতুর প্রধান শিক্ষক

মোজাম্মেল হক ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের স্বাক্ষর জাল জালিয়াতি করে উপজেলা

মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও নিয়োগ সংশ্লিস্টদের ম্যানেজ করে কয়েকজন শিক্ষক

কর্মচারিকে অবৈধ ভাবে সরকারি নিয়মের তোয়ক্কা না করে নিয়োগ যোগদান করান।

বিষয়টি কারণে ২০০০ ইং সালে নিয়োগ প্রাপ্ত ছামছুল হকের বেতন ভাতা ভুক্ত হওয়ার

সম্ভাবনা ক্ষীন হওয়ায় সে প্রধান শিক্ষকের নিকট ডোনেশনের টাকা ফেরত চায়। এতে

প্রধান টাকা দিতে গরিমশি করছেন। প্রধান শিক্ষকের জালিয়াতির মাধ্যমে সেই সকল

শিক্ষক কর্মচারীকে গত ৪ অক্টোবর/২০১৬ ইং তারিখে যোগদান করিয়েছেন তাদের

নিকট নিয়োগ পত্রসহ নিয়োগ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র আছে কি না জানতে চাওয়া হলে

তারা জানান প্রধান শিক্ষক কোন ধরণের কাগজ পত্র আমাদের প্রদান করেননি। দায়িত্ব

প্রাপ্ত শিক্ষক জাহিদুল ইসলামের নিকট শিক্ষক হাজিরা বহির বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে

তিনি জানান প্রধান শিক্ষক হাজিরা বহিসহ স্কুল সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্রদি কোথায়

রেখেছেন আমরা জানি না। তাদের কাছে উপস্থিতি হাজিরার কথা জানতে চাইলে তারা

জানান সাদা কাগজে উপস্থিতি স্বাক্ষর করিতেছি। উপস্থিত সকল শিক্ষক জানান

প্রধান শিক্ষকের এহেন কার্যকলাপের ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে, অপর

দিকে আসন্ন এস.এস.সি ও বার্ষিক পরীক্ষার প্রস্তুেিতর অংশ নেওয়া সকল

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার ফলাফলে বিপর্যয় ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষকের নিকট

যোগাযোগের চেস্টা করা হলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসী

দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহনের জন্য উপ-

পরিচালক রংপুর অঞ্চল, রংপুর, দূর্নীতি দমন কমিশন, রংপুর, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা

অফিসার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে অভিযোগ প্রেরণ

করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451