নুরুল আলম ডাকুয়া সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মৃত কিশোরের মায়ের পাতানো শিয়াল মারা বিদ্যুৎ
ফাঁদে স্পৃষ্ট হয়ে সজীব মিয়া (১১) নামে এক কিশোরের মৃত্যু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকালে উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের রামভদ্র
গ্রামের মৃত সাহিদুল ইসলামের ছেলে সজীব মিয়া বাড়ি সংলগ্ন মুরগীর
খামারের পাশে গেলে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এর আগের রাতে
শেয়াল মারার জন্য সজীবের মা খামারের পাশে বৈদ্যুতিক সংযোগ করে ফাঁদ পেতে
রেখেছিল। ঐ ফাঁদে সজীবের মৃত্যু হয়। ইউপি চেয়ারম্যান-মাহাবুর রহমান এ
ঘটনা নিশ্চিৎ করে বলেন-সকালে ফাঁদের বৈদ্যুতিক সংযোগ তারে স্পৃষ্ট হয়ে
সজীবের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতিক সময়ে কঞ্চিবাড়ির দুলা মিয়া উজান
বোচাগাড়ী গ্রামের সেলিনা বেগম, চন্ডিপুরের দশম শ্রেণীর ছাত্র নুর
মোহাম্মদসহ বেশ কয়েকজন বিদ্যুতে স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেন। তার মধ্যে
অনেকেই পার্শ¦ সংযোগ লাইনে স্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। অভিজ্ঞ মহল মনে করেন পল্লি
বিদ্যুৎ বিভাগের কিছু অসাধু কর্মকর্তা, কর্মচারিরা টুপাইসের বিনিময়ে
পার্শ্ব সংযোগ লাইন দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। তবে পল্লি বিদ্যুতের উদ্ধতন
কর্তৃপক্ষ পার্শ্ব সংযোগ লাইন অপসারনে কখনো কখনো অভিযান চালালেও
অসাধূ কর্মকর্তা, কর্মচারিদের ভেলকি বাজির কারনে পার্শ্ব সংযোগ লাইন বন্ধ
হচ্ছে না। আর এ পার্শ্ব সংযোগ লাইন পুরপুরি বন্ধ না হলে হরহামেশাই এ ধরনের
দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। সরেজমিনে দেখা গেছে শান্তিরাম ইউনিয়নের
মজুমদারহাট সংলগ্ন দক্ষিন পার্শ্বে হাইওয়ে রাস্তার পশ্চিম পার্শে¦র উচ্চ ক্ষমতা
সম্পূন্ন লাইনের একটি খুটি যার চর্তুরদিকে সংযোগ ও মূল হাইওয়ে রাস্তার
উপর দিয়ে চলে গেছে। সেই খুটির মাঝখানে দুই তৃতীয় অংশ বিনষ্ট হয়েছে।
যে কোন মহুত্তে ঐ খুটি ভেঙ্গে পড়ে বড় ধরনের জানমালের ক্ষতি হতে পারে। বিষয়টি
কঞ্চিবাড়ি পল্লি বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্রের ইনচার্জকে ফোনে জানালেও তিনি
কোন রকম কর্ণপাত করছেন না।