শেখ হুমায়ুন হক্কানী গাইবান্ধা থেকে ঃ গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপেক্সে জন্ম নেওয়া জমজ ৩ ছেলে সন্তানের মধ্যে দু’জন মারা
গেছে। এখন একজন মাত্র বেঁচে আছে। টাকার অভাবে উন্নত চিকিৎসা
করাতে না পারায় বেঁচে থাকা শিশুটিও রয়েছে ঝুঁকিতে।
সাঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স ও শিশুটির পরিবার সুত্রে জানা গেছে,
উপজেলার ঘুড়িদহ ইউনিয়নের ঝড়াবর্ষা গ্রামের গৃহবধু পাপিয়া বেগম
(২৫) শনিবার সকালে স্বাভাবিকভাবে তিনটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়।
শিশুদের ওজন কম থাকায় ওইদিন বিকালে তাদেরকে গাইবান্ধা সদর হাসপাতালে
ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাদেরকে শনিবার রাতেই আবার উন্নত
চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রোববার
সকালে সেখানকার চিকিৎসকরা আরও উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে
যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় চিকিৎসা খরচের আর্থিক সামর্থ না থাকায়
গত রোববার বিকেলে সন্তানদের ঝড়াবর্ষা গ্রামে নিয়ে আসেন শিশুগুলোর
অভিভাবকরা।
এদিকে সোমবার রাতে তিন শিশুর মধ্যে একটি শিশু মারা যায়। পরে মঙ্গলবার
সকালে অপর আর একটি শিশুও মারা যায়। শিশুটির মা পাপিয়া বেগম
অভিযোগ করে বলেন, সঠিকভাবে চিকিৎসা না পাওয়ায় আমার দুই সন্তান
মারা গেছে। শিশুর বাবা আকাশ মিয়া বলেন, একসঙ্গে তিন ছেলে সন্তান
পেয়ে আমি খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু তাদের দুজন মারা গেছে। চিকিৎসকরা
উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় যেতে বলেছেন। কিন্তু টাকার অভাবে নিয়ে
যেতে পারছি না।
এসব বিষয়ে গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন,
স্বাভাবিকের চেয়ে ওজন কম থাকায় শিশুটির জীবনের ঝুঁকি আছে। ভালভাবে
দেখভাল ও উন্নত চিকিৎসা করাতে হবে। তারা সহযোগিতা চাইলে জেলা
স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হবে।