মুন্সিগঞ্জের সিরাজদীখান উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের পশ্চিম কুসুমপুর গ্রামের অসহায় আদম আলীর বসত বাড়ীতে পুর্ব শুত্রুতার জের ধরে জোরপুর্বক ঘর বাড়ি ভেঙ্গে আগুনে পুড়িয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। অভিযোগকারীরা জানান তাদের গ্রামের ইব্রাহিম হালদারের ছেলে ভূমিদস্যু ইসমাইল, খোকন, রমিজ উদ্দিনের ছেলে বাবুল, খোকনের ছেলে অনিক ও তার বাহিনিরা এই ঘটনা ঘটায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, আদম আলী বহু বছর যাবৎ এখানে ঘর বাড়ি তৈরী করে ছেলে মেয়ে নিয়ে বসবাস করে আসছিল। ঘটনার দিন ইসমাইল গংরা অনাধিকার প্রবেশ করে জোর পুর্বক ঘর বাড়ি ভাংচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। সেই আগুনে ছাই হয়ে যায় তাদের বাড়িঘর আসবাবপত্র এবং ঘরের মালামাল।
এ ব্যপারে আদম আলী স্থানীয় চেয়ারম্যান মতিন হাওলাদারকে ঘটনার বিষয়টি জানালে তিনি আমলে না নিয়ে তাকে তাড়িয়ে দেন। পরে আদম আলীর স্ত্রী বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে সিরাজদিখান থানার এস আই শ্যামল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত করে আসেন। কিন্তু পুলিশের তদন্ত, তদন্তই থেকে যায়। তদন্তের কোন রিপোর্ট আজ অবদি আলোর মুখ দেখেনি। পুলিশের তদন্তের বিষয়টি নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে এলাকায়।
বাদী পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় এস আই শ্যামল মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ হয়ে নিরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছেন।
অন্যদিকে আদম আলী তার ২ ছেলে ও ৪ মেয়ে স্ত্রীসহ খোলা আকাশের নিচে এক সাপ্তাহ যাবৎ বসবাস করছেন। যা মানুষের বিবেককে একটু হলেও কাঁদায়। আদম আলীর স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, আমরা গরিব তাই আমাদের পাশে কেউ আসবেনা এবং ন্যায় বিচার পাবনা, বিচার পাইতে হলে যে টাকা লাগে? কিন্তু আমার তো টাকা নাই, থানার দারোগা সাহেব আমার কাছে টাকা চাইছিল টাকা দিতে পারিনী বলেই তো তদন্ত রিপোট দেয়নী। আমরা কিভাবে দিন কাটাচ্ছি দেখার কেউ নেই। আমরা কি কখনো সু-বিচার পাবনা? পুলিশের সহযোহিতা কি পাবনা? মাথা গুজার ঠাইটুকু কি পাবনা? এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে আদম আলীর পরিবারের সদস্যদের মাঝে।