শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

লালপুরে কৃষিজমিতে ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক।

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৬ অক্টোবর, ২০১৬
  • ১৮৯ বার পড়া হয়েছে

 
মোঃ আশিকুর রহমান (টুটুল),নাটোর জেলা প্রতিনিধি,

নাটোরের লালপুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রতিটি মাঠের বুকে

এখন সবুজের সমারহ। দিগন্ত জুড়ে যে দিকে তাকায় শুধু সবুজ আর সবুজ। সবুজের

সমারোহে চোখ জুড়িয়ে যায়। রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকের মুখে

এখন হাসির ঝিলিক। মৌসুমের শুরুর দিকে বন্যার কিছুটা প্রভাব থাকায় রোপা আমন

চাষ নিয়ে কৃষকেরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে ছিল। কিন্তু বন্যার পানি দ্রুত নেমে যাওয়ায়

তারা রোপা আমন ধান রোপণ করতে সক্ষম হন। ফলে এখন আর হতাশা নয় বরং বুকভরা আশা

নিয়ে কৃষকের মুখে ফুটেছে হাসির ঝিলিক। নাটোর জেলার খাদ্যশস্য ভান্ডার হিসেবে

খ্যাত লালপুর উপজেলার মাঠগুলো এখন কৃষকদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলার ১০ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার

প্রায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

গতবছরের অনাবৃষ্টি ও কিছু কিছু কিছু স্থানে ব্যনার পানির কারনে এলাকাবাসীর সব

ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল । এবারে রোপা আমন চাষ নিয়ে অনেকেই দ্বিধগ্রস্তের শিকার

হন। কৃষি অফিসের তথ্যমতে এবারে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায়

৬ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়েছে। লালপুর উপজেলার বাংলাদেশের

মানচিত্রে সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত ও উষ্ণ তম অঞ্চল হিসেবে পরিচিত ।

lalpur-dhan-26-10-16

 

যার দরুন এই এ

অঞ্চলের কৃষকেরা এবার রোপা আমন চাষকে সৌভাগ্য হিসাবে মনে করছেন। এদিকে

উপজেলার ডিলারদের নিকট পর্যাপ্ত পরিমান তেল ও সার পাওয়ায় কৃষকরা অনেকটা আশ্বস্ত

হয়েছে। উপজেলার ওয়ালিয়ার গ্রামের কৃষক হাবিবুর রহমান,সোহেল রানা ,নূর ইসলাম

বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবারে আমরা অধিকহারে রোপা আমন ধান চাষ করেছি।

আশা করছি এবার রোপা আমন ধানে বাম্পার ফলন হবে।

উপজেলার নান্দ-রায়পুর গ্রামের কৃষক জানান, প্রতিটা বছরে অনাবৃষ্টি অতিক্ষরার কারণে

আমাদের মাঠে আমন চাষ হতো না। কিন্তু এবার সময় মত বৃষ্টিপাত হওয়ায় বাম্পার ফলনের

সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে আমরা অনেক উপকৃত হবো এবং বিগত দিনের ক্ষতি

পুষিয়ে নিতে পারবো বলে মনে করছি।

লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান খান বলেন, রোপা আমন ধান চাষে

কৃষকেরা যাতে লাভবান হতে পারে এবং কৃষকরা যেন রোপা আমন চাষে কোন প্রকার

সমস্যায় না পড়েন এ জন্য আমরা সার্বক্ষণিক নজর রাখছি। যেখানেই সমস্য সেখানেই

আমাদের উপস্থিতি এবং সমস্যা সমাধানে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অধিক

ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয়,উচ্চ ফলনশীল বীজ সরবারহ ও তার সঠিক

ব্যাবহারের জন্য দক্ষ প্রশিক্ষন এর ব্যাবস্থার এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট

হতে আমরা সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছি। এবার লালপুর উপজেলার কোন এলাকাতেই

মাজরা পোকা ও পচন রোগের তেমন আক্রমন নেই বললেই চলে । প্রধানত আবহাওয়া অনুকুলে

থাকার কারনে এবছর রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আমরা আশা

করছি এবার রেকর্ড পরিমান জমিতে রোপা আমন ধানের বাম্পার ফলন হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451