মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণের ঘটনায় পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততা প্রমাণ হলে অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ। রোববার সকালে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা জানান।
এদিকে, হাসপাতালগুলোতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি বন্ধে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি কর্তৃপক্ষকে সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের টয়লেটে মোবাইল ক্যামেরা দিয়ে গোপনে ভিডিও ধারণের খবর জানার পরপরই মাঠে নামে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি দল তথ্য সংগ্রহ করে সরেজমিনে।
তদন্তে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে অনুমোদন বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার আবুল কালাম আজাদ।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা দেখি যে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এই ধরনের ঘটনাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এই ধরণের অনৈতিক ঘটনা যদি তারা ঘটিয়ে থাকে তাহলে হাসপাতাল হিসেবে তাদের সেবা চালু রাখা কখনোই আইনসম্মত না।’
এ ধরনের ঘটনার যেন আর না ঘটে, সে জন্য সরকারের পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকেও সজাগ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
স্বাস্থ্য অধিকার আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশিদ ই মাহবুব বলেন, ‘স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে এ ধরণের নির্দেশনা দেওয়া উচিৎ যে, এই ধরণের নির্যাতন বন্ধে কি ধরণের ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ এছাড়া এই ধরনের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে তার নিজের মতো করে সক্রিয় থাকতে হবে। এজন্য শুধু কতগুলো নিয়ম-কানুন না, কর্মচারীদের সঠিক প্রশিক্ষণও দিতে হবে।’
এদিকে, গোপনে ভিডিও ধারণের ঘটনায় গ্রেফতার পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মচারী হাসিবুর রহমানকে একদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তবে তার সঙ্গে অন্য কেউ আছে কি-না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তারা।