যশোর : যশোরের কারগারের প্রধান ফটক থেকে বের হলেই দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে হেমায়েত বাহিনীর প্রধান হেমায়েত হোসেনকে (৩০) হত্যা করেছে।
আজ সোমবার ইফতারের পর যশোর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে বের হলে কারাফটকের সামনেই তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। তার বাবার নাম জিন্নাহ ওরফে টেনা কসাই। শহরতলীর মণ্ডলগাতি এলাকায় তাদের বাড়ি।
যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার শাজাহান আহমেদ বলেন, আজ সোমবার ‘রাত পৌনে আটটার দিকে জামিনে মুক্তি পেয়ে হেমায়েত কারা ফটকের সামনের রাস্তা পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলযোগে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা এসে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এসময় কারাগারের প্রধান ফটকে দায়িত্বরত কারারক্ষীরা দুর্বৃত্তদের ধাওয়া করে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল একটি দুই দফা পড়ে যায়। ফলে দুর্বৃত্তরা সেটি ফেলেই পালিয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন,‘কারারক্ষীরা আমাকে বিষয়টি ফোনে জানানোর সঙ্গে সঙ্গে আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে আসি। কারারক্ষীদের কাছ থেকে জানতে পারি দুর্বৃত্তরা হেমায়েতকে লক্ষ্য করে প্রথমে দুই রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এরপর তার মৃত্যু নিশ্চিত করতে পড়ে থাকা হেমায়েতের মাথায় আরেক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়।’
গুলিবিদ্ধ হেমায়েতকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান কোতয়ালী থানার এসআই শাহাবুল। তাকে জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, হাসপাতালে আনার আগেই হেমায়েতের মৃত্যু হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন জানান, গত ১৯ এপ্রিল তাকে বিস্ফোরকসহ পাঁচটি মামলায় যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশ আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে। আজ সোমবার জামিনে বের হন তিনি।
সন্ধ্যার পর কারাগার থেকে বের হয়ে হেমায়েত কারাফটকের সামনে সুকতারা টি স্টলে চা পান করছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত পরিচয়ে দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকের যোগে এসে তার সামনে থেকে পর পর কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। একটি গুলি হেমায়েতের মাথার ডান পাশে এবং আরেকটি গুলি পায়ে বিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে তার লাশ উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত হেমায়েতের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, অস্ত্র, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন আইনে ১৯টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
যশোরের সহকারী পুলিশ সুপার (খ সার্কেল) বিল্লাল হোসেন বলেন, ‘আমার সরকারি বাসভবনের সামনে (জেলখানা-লাগোয়া) এক যুবককে দুর্বৃত্তরা গুলি করে পালিয়ে গেছে। উপস্থি লোকজনের সহায়তায় কোতয়ালী থানার এসআই শাহাবুল তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।