শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
কবে হবে জাতীয় নির্বাচন, জানালেন প্রধান উপদেষ্টা কুমিল্লায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, নিহত ৩ মোরেলগঞ্জে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলার উদ্বোধন জাতীয়তাবাদী রেলওয়ে শ্রমিক ও কর্মচারী দলের ৪৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন তারেক রহমান দেশে ফিরবেন কখন, যা বললেন মির্জা ফখরুল গুম-খুনে আর জড়াবে না র‍্যাব : মহাপরিচালক শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম সমর্থন করে না ভারতের মোদি সরকার সোনারগাঁয়ে দুটি চুনা কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিছিন্ন পাঁচবিবিতে জনবল সংকট ইউনিয়ন স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্রে ক্যারিবিয়ান জয়ের পর তাসকিন-তাইজুল যা বললেন

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের এ কেমন পাশবিকতা

বাংলার প্রতিদিন ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০১৬
  • ২৫৭ বার পড়া হয়েছে

 

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় নয়াহালট সরকারী প্রাখমিক

বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল গাফফার তালুকদারের বিরুদ্ধে ছাত্র

নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেয়েছে। গতকাল বিকালে

উপজেলানির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে

অভিযোগ দাখিল করেন নির্যাতিত ছাত্রের চাচা আবু আলা রনি।

অভিযোগে জানা যায় বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র আবু তায়েব

প্রান্ত ও আবু জাফরকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সামান্য

অজুহাতে একজন শিক্ষার্থী প্রধান শিক্ষকের নিকট বিচার

প্রার্থী হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দু’জন ছাত্রকে ডেকে

নিয়ে অমানুষিক ভাবে নির্যাতন করে একজন ছাত্রকে অজ্ঞান করে

ফেলেন। নির্যাতনের শিকার ছাত্রদের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন

বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে চলে আসেন। ছাত্রের অভিভাবগণ বিদ্যালয়ে এসে

নির্যাতিত ছাত্রদেরকে জামালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে

প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ছাত্রের চাচা আবু আলা রনি

জানান ১৫-২০ দিন পূর্বে এই ছাত্রদেরকে অমানুষিক ভাবে

নির্যাতন করেছিল। আমরা বিচার প্রার্থী হলে বিদ্যালয়ের

ম্যানেজিং কমিটির মধ্যস্থাতায় আর এই ধরনের ভুল করবেনা

প্রতিশ্রুতি দিয়ে অভিযোগ না করার জন্য অনুরোধ করেন।

প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনের কারণে অনেক ছাত্র ছাত্রী বিদ্যালয়

ছেড়ে অন্য বিদ্যালয়ে চলে গেছেন। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত প্রধান

শিক্ষক আব্দুল গফফার তালুকদার বলেন আমার বিদ্যালয়ের একটি

ছাত্রকে তাঁরা দুই জন ছাত্র মিলে মারধর করে আমার বিদ্যালয়ের

অন্যান্য শিক্ষকগণও বিষয়টি দেখে আমাকে জানালে আমি একটি

বাঁশের কনচি নিয়ে কয়েকটি বাড়ি দেই। এতে ছাত্রের

অভিভাবকগণ আমার বিরুদ্ধে অন্যায় ভাবে কুৎসা রটনা করে

অভিযোগ দাখিল করেন। এই ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা

নূরুল আলম ভূইয়া বলেন ছাত্রদের অভিভাবক আমার ও উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন। উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি বিদ্যালয়ে গিয়ে তদন্ত করে

এসেছি। বিষয়টি আসলেই অমানবিক এ বিষয়ে তদন্ত করে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা তাসলিমা আহমেদ পলি বলেন অভিযোগ

পেয়েছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়েছি তদন্ত করে

প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য বলেছি। আমি ছাত্রদের

আঘাতের চিহ্ন দেখেছি বিষয়টি অমানবিক। শুধু এই প্রধান

শিক্ষকই নয় কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের অমানবিক আঁচরণ

করা যাবে না। এ ব্যাপারে সবাই সচেতন হওয়ার জন্য আহবান

জানাচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © banglarprotidin.com
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com
themebazarbanglaro4451