গুরুদাসপুর প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বুক চিরে প্রবাহিত আত্রাই নদীসহ চলনবিলের কয়েকটি পয়েন্টে স্থানীয়
ক্ষমতাসীন দলীয় নেতাদের মাছ নিধনের অবৈধ সোঁতিজালের বিরুপ প্রভাবে আসন্ন রবি মৌসুমে
রবিশস্য চাষ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা।
সরেজমিন গেলে কৃষকরা জানান, পানি নিষ্কাশনের উৎসমুখে সোঁতিজাল পাতার ফলে চলনবিলের উত্তর ও
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পানি নিষ্কাষনে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে নাটোরের সিংড়া, গুরুদাসপুর, সিরাজগঞ্জের
তাড়াশ ও নওগাঁর আত্রাই উপজেলা এলাকার প্রায় ৩০ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাচাষে সরিষা, গম, ভুট্টা ও
রসুন চাষ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। এসব সোঁতিজালের কারনে যথা সময়ে পানি নিস্কাষণ না
হওয়ায় এবার কোটি কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে চলনবিল এলাকার কৃষকদের।
অবৈধভাবে নির্মিত এসব সোঁতিজাল মালিকরা জানান, রিপোর্ট করে কোন লাভ নেই। আমরা সরকারি
দল করি, সবাইকে ‘ম্যানেজ’ করেই জাল পেতেছি।
এ ব্যাপারে গুরুদাসপুর উপজেলা প্রশাসন, কৃষি অফিস, মৎস্য অফিস দাবি করে জানান, ইতিমধ্যে
একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ওইসব নেতাদের সোঁতিজাল ও বাঁশ-খুঁটি জব্দ করে আনা হয়েছে।
লোকবল ও উচ্ছেদ কাজের জন্য বরাদ্দ কম থাকায় প্রশাসনের পক্ষে সার্বক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হয় না।
তারপরও সোঁতিজাল উচ্ছেদ অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে।