মহিনুল ইসলাম সুজন,ক্রাইমরিপোর্টার নীলফামারীঃঃ-নীলফামারীর ডিমলায়
বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মাদকদ্রব্য দিয়ে কলেজছাত্রীর বাবাকে ফাঁসাতে গিয়ে ফেঁসে গেছেন এক নারী লোভী যুবলীগ নেতা।
পুলিশ সুত্রে জানা যায়, খগাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের দোহলপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে যুবলীগ নেতা জেনারুল ইসলাম (৪০) ডিমলা মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয়বর্ষের এক ছাত্রী ও ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। জেনারুল ইসলাম খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের যুবলীগ সভাপতি বলে ইউনিয়ন সভাপতি আরিফুল রহমান আরিফ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, জেনারুল দুই সন্তানের জনক হয়েও কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় মেয়ের বাবাকে ফাঁসানোর জন্য এই যুবলীগ নেতা গোপনে ছাত্রীটির বাড়িতে- ২৫টি ইয়াবা ও ২০টি গাঁজার পুরিয়া রেখে আসেন এবং পুলিশকে খবর দেয়।
রাতে ডিমলা থানার সিনিয়র সাবইন্সপেক্টর শাহাবুদ্দিন অভিযান চালিয়ে গাঁজা ও ইয়াবা উদ্ধার করে।পরে ছাত্রীটি পুলিশকে সাজানো এই নাটকীয়তার বিষয়ে বিস্তারিত খুলে বললে কলেজছাত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে জেনারুলকেই পুলিশ আটক করে।
তারপর বিকেলে নীলফামারীর সহকারী পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীর কলেজছাত্রীর সামনে অভিযুক্ত জেনারুলকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
তিনি আরো জানান, জেনারুল ওই কলেজছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়।কিন্তু ছাত্রীটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় সে অভিনব কায়দায় ছাত্রীটির বাসায় গোপনে মাদকদ্রব্য রেখে এসে তা দিয়ে ছাত্রীটির বাবাসহ পরিবারটাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে নিজেই ফেঁসে গেছেন।
ডিমলা থানার ওসি- মোয়াজ্জেম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আটক জেনারুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হবে।
উল্লেখ্যঃএই যুবলীগ নেতা এক সময় দরিদ্র থাকলেও তিস্তা নদীতে অবৈধ ভাবে বোমা মেশিন বসিয়ে পাথর উত্তোলন করে বনে গেছেন এখন কোটিপতি!!যা এলাকার মানুষ বলেন রাতারাতি আঙ্গুল ফুল কলাগাছর মতই!
আর তিনি এই টাকার গরমে এলাকায় প্রতিনিয়ত দাপিয়ে বেড়িয়ে যা খুশি তাই করে চলেন।