শেখ হুমায়ুন হক্কানী গাইবান্ধা থেকে ঃ গাইবান্ধার স্বেচ্ছাসেবী
সংগঠন এসকেএস ফাউন্ডেশন জেলা শহরের সার্কুলার রোডস্থ মাস্টারপাড়ায়
শনিবার একটি আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন ‘এসকেএস
হাসপাতাল’ চালু করে। হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
প্রধান অতিথি ছিলেন পলী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. কাজী
খলীকুজ্জামান আহম্মদ এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের
জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পীকার অ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়া এমপি, হুইপ
মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি।
এসকেএস ফাউন্ডেশনের নির্বাহী প্রধান রাসেল আহমেদ লিটনের
সভাপতিত্বে উদ্বোধনী পর্বে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট
শফিকুল ইসলাম, পিকেএসএফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. জসিম উদ্দিন,
জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, পৌরসভার মেয়র অ্যাড. শাহ
মাসুদ জাহাঙ্গীর কবির মিলন, গাইবান্ধা প্রেসকাব সভাপতি কেএম
রেজাউল হক, সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর সাবু, সমাজসেবা উপ-পরিচালক
আকরাম হোসেন, ড. আবু হানিফ, এসকেএস হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ
আকতার আলম ডন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মাহফুজ ফারুক।
ফলোক উন্মোচন করে এবং বেলুন উড়িয়ে হাসপাতালের আনুষ্ঠানিক
উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহম্মদ বলেন, বঙ্গবন্ধু
ঘোষিত এদেশের মানুষের মুক্তির লক্ষ্য অর্জনে প্রতিটি মানব মর্যাদায়
প্রতিষ্ঠায় সরকারি উদ্যোগে পলী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন কাজ করে চলেছে।
তিনি বলেন, পিকেএসএফ মানুষের জন্য নয়, মানুষের সঙ্গে এদেশের টেকসই
উন্নয়নের লক্ষ্য সমূহ বাস্তবায়ন করছে।
ডেপুটি স্পীকার অ্যাড. ফজলে রাব্বি মিয়া বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ
হাসিনা শুধু উন্নয়নের স্বপ্নই দেখান না, তা বাস্তবায়নও করেন। ১৯৯৬
সালে আওয়ামী লীগ সরকার স্বাস্থ্যসেবার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক চালু
করেন। কিন্তু বিএনপির খালেদা জিয়া তা বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে সরকার
২০০৯ সালে বন্ধ হওয়া কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো পুনঃরায় চালূ করেন। যা
এখন সারা বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
হুইপ মাহাবুব আরা বেগম গিনি এমপি এসকেএস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠিত
হাসপাতালটি অবহেলিত এ জেলার মানুষের এ উন্নত চিকিৎসাসহ
চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাবেন বলে
আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি এক্ষেত্রে পিকেএসএফ’র সার্বিক সহায়তা
কামনা করেন।
উলেখ্য, পলী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে এ
অত্যাধুনিক হাসপাতালটি গড়ে তোলা হয়। ২০ শয্যা বিশিষ্ট এই
হাসপাতালে জেনারেল বেড ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কেবিন, দুটি
অত্যাধুনিক ও সমৃদ্ধ অপারেশন থিয়েটার, একটি চক্ষু অপারেশন থিয়েটার
এবং রোগীদের সুবিধার্থে লিফট সুবিধাসহ দুটি সার্বক্ষনিক
এ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া পিকেএসএফ’র সহযোগিতায়
আইসিইইউ ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ এ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ
হাসপাতালে গর্ভবতী ও প্রসূতি মায়েদের স্বাস্থ্য এবং গাইনোলজিক্যাল
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষাসহ অত্যাধুনিক
ডিজিটাল মেশিনে বিভিন্ন রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং অভ্যন্তরীন
মেডিসিন ও ফার্মেসী সুবিধাও রয়েছে।