নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলায় পৃথক ঘটনায় উদ্ধার করা হয়েছে দুই গৃহবধূর লাশ । দুই গৃহবধুরই নাম কাকতালীয়ভাবে ‘শারমিন আক্তার ‘ বলে জানা গেছে। কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের শারমিন আক্তার ও চাটখিল উপজেলার শারমিন আক্তার ওই দুই গৃহবধূকে হত্যার ঘটনায় প্রাথমিক সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ । এ ঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ও ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে।
নিহত শারমিনের বাড়ি কবিরহাট থানার কালামুন্সি বাজারের ‘চৌকিদার বাড়ি’। তিনি স্বামী মনির হোসেনের সঙ্গে চট্টগ্রামে বসবাস করতেন। গতকাল শুক্রবার স্বামীর সাথে চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী এসেছিলেন শারমিন। পথে রহস্যজনক কারণে মনির ফেনীর মহিপালে নেমে শারমিনকে একা বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরে চরকাঁকড়া ইউনিয়নেরএকটি ডোবা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
অন্যদিকে, গতকাল বিকেলে চাটখিল উপজেলায় শারমিন আক্তার শানু (২৫) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামী আলমগীরের সঙ্গে রাশিপুরের ‘পাটোয়ারী বাড়ি’তে বসবাস করতেন তিনি।
কোম্পানিগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রবিউল হক জানান, গতকাল সন্ধ্যায় কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউপির একটি ডোবা থেকে শারমিন আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের নাকে ও গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
বর্তমানে শারমীনের স্বামী মনির হোসেন পলাতক রয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত শারমীনের পরিবার কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলেও জানান পুলিশ।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসিম উদ্দিন জানান, ঘরের ভেতরে মেঝেতে শারমিনের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। পরে তারা পুলিশকে খবর দিলে লাশ উদ্ধার করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত শারমিন আক্তার শানুর স্বামী আলমগীর হোসেন এলাকায় বখাটে হিসেবে স্বীকৃত। শারমিন আক্তার শানুকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করতেন তিনি।
এই ঘটনায় এখনো কেউ আটক হয়নি। তবে শারমিনের মৃত্যুর জন্য স্বামী ও শাশুড়িকে দায়ী করেছে তাঁর পরিবার।