আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মাজহারুল ইসলাম এ পরোয়ানা জারি করেন।
চলতি বছরের ৩১ আগস্ট একই আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। ওই দিন বিচারক মামলাটি আমলে নিয়ে সমন জারি করেন।
এ বিষয়ে বাদীপক্ষের আইনজীবী দুলাল মিত্র জানান, আজ মামলাটি আদেশের জন্য রাখা হয়েছিল। খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বিচারক গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। মামলায় খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা গেল কি না, সেই প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী বছরের ২ মার্চ পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
মামলার আরজি থেকে জানা যায়, ১৯৯৬ সালের ১৫ আগস্ট থেকে জাতীয় শোক দিবসে ইচ্ছাকৃতভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া জন্মদিনের ঘোষণা দিয়ে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে তা পালন করছেন খালেদা জিয়া।
এ অনুষ্ঠানে ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে নানা রকম কুৎসা, বানোয়াট গল্প প্রচার ও গুজবের মাধ্যমে সম্মানহানি ঘটানো হয়।
এভাবে কুরুচিকর বক্তব্যের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করাসহ স্বাধীনতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আনন্দ-উল্লাস করে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়, যা পৃথিবীর ইতিহাসে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্রের আইন, রাষ্ট্র ও সংবিধানবিরোধী কর্মকাণ্ড।
মামলায় আরো বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন নিয়ে ১৯৯৭ সালের ২২ আগস্ট দৈনিক ইত্তেফাক ও ১৯৯৭ সালের ২৭ আগস্ট দৈনিক সংবাদে প্রতিবেদন প্রচারিত হয়।
সেখানে লেখা হয়, খালেদা জিয়ার অকৃতকার্য এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুসারে জন্মদিন ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। দৈনিক বাংলার বাণী পত্রিকায় খালেদা জিয়ার জীবনী প্রকাশ করা হয়। সেখানে লেখা হয়, তাঁর জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার কাবিননামায় জন্মদিন উল্লেখ করা হয় ১৯৪৪ সালের ৯ আগস্ট এবং সর্বশেষ ২০১১ সালের তাঁর মেশিন রিডেবল পাসপোর্টে জন্মদিন উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৪৬ সালের ৫ আগস্ট।