৬ হাজার ২৫২ দশমিক ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে পদ্মাসেতু লিংক রোড প্রকল্প। সেতুর এপার-ওপার আন্তর্জাতিকমানের এ সড়কের দৈর্ঘ হবে ৫৫ কিলোমিটার। বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সড়কটি নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাছে কেরানীগঞ্জে নবনির্মিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে আধুনিক এ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
স্বপ্নের পদ্মাসেতুর দু’পাড়ে এ এক্সপ্রেসওয়েটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যেতে সময় লাগবে অনেক কম। চারলেনের এ সড়কপথের মাঝামাঝি থাকবে ‘মিডিয়ান’। যেখানে ভবিষ্যতে মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। ঢাকা থেকে মাওয়া এবং পদ্মার ওপার জাজিরা থেকে পাঁচ্চর হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত এ সড়কটি হবে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। উদ্বোধনের পর এমনটাই জানালেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
ওবায়দুল কাদের বললেন, ‘মহাসড়কটির উভয় পার্শ্বে ধীরগতির যানবাহনের জন্য ৫ দশমিক ৫০ মিটার প্রশস্ত পৃথক লেন থাকবে। সড়কের কোথাও ট্রাফিক ক্রসিং এবং ধীরগতির যান চলাচল থাকবে না বিধায় যানবাহন নিরবচ্ছিন্ন ও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে। ফলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকা এবং দেশের পূর্বাঞ্চলের যাত্রী ও পণ্য পরিবহন নিরাপদ, সময় সাশ্রয়ী ও আরামদায়ক হবে।’
তিনি বলেন, ‘৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নের বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তাছাড়া মহাসড়কটির মাঝ বরাবর ৫ মিটার প্রশস্ত ‘মিডিয়ান’ থাকবে। এছাড়াও এ মহাসড়কে ৪টি ফ্লাইওভার, ৪টি রেলওয়ে ওভারপাস এবং ৩টি ইন্টারচেঞ্জ থাকবে। মহাসড়কের দু’পার্শ্বে ও মিডিয়ানে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সবুজায়ন করা হবে। ভবিষ্যতে এ মিডিয়ান ব্যবহার করে মেট্রোরেল নির্মাণেরও পরিকল্পনা রয়েছে।’
মন্ত্রী আরো জানান, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উন্নত মহাসড়ক অবকাঠামো অপরিহার্য। দেশের দক্ষিণঞ্চলের সঙ্গে নিরবিচ্ছিন্ন সড়ক যোগাযোগের জন্য পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। পদ্মাসেতু ব্যবহার করে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে যাতায়াত দ্রুত ও সহজতর করতে এবং এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে যাত্রাবাড়ী ইন্টারসেকশন প্রকল্পটির পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়।