ডা. সেলিনা হায়াত আইভি। সারাদেশে বহুল আলোচিত নাম। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর প্রয়াত আলী আহমেদ চুনকার মেয়ে হিসেবে তাকে চিনত নারায়ণগঞ্জবাসী। তবে এখন তাকে সবাই চেনে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র হিসেবে। ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত শামীম ওসমানকে বিপুল ভোটের ব্যাবধানে জয়ী হয়েছিলেন আইভি। আর তখন থেকেই নারায়ণগঞ্জ ছাড়িয়ে আইভি সারাদেশে আলোচিত হয়েছেন।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আসন্ন নির্বাচনে আইভি কী প্রার্থী হচ্ছেন? ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ কী তাকে দলীয় মনোনয়ন দেবে? এমন প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক মহলে। শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ড বৈঠকে বসছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে দলীয় মেয়র প্রার্থী চূড়ান্ত হতে পারে আজকের বৈঠকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে প্রস্তাব করা হয়নি আইভির নাম। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে বৃহস্পতিবার আবেদন করেছেন আইভি। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নাম না প্রস্তাব করলেও কেন্দ্র থেকে যে কাউকে মনোনয়ন দিতে পারে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
ফলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কী আছে আইভীর ভাগ্যে?
২০০৩ সালে চারদলীয় জোট সরকার আমলে নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন আইভি। আওয়ামী লীগ তাকে সমর্থন দিয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে নারায়ণগঞ্জ সিটির প্রথম নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ সমর্থন দেয় শামীম ওসমানকে। দলটির শীর্য নেতারা শামীমের পক্ষ্যে প্রচারণায় নামেন। কিন্তু বিশাল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন আইভি।
মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই শামীম- আইভি প্রকাশ্যে বিরোধ দেখা দেয়। টকশো, জনসভা কিংবা যেকোনও অনুষ্ঠানে শামীম- আইভি পরস্পরের কড়া সমালোচনা করেছেন। নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন ও শিশু তক্বী হত্যার সঙ্গে শামীম ওসমান ও তার পরিবার জড়িত এমন অভিযোগ তুলেন আইভি। শামীমও ছেড়ে কথা বলেননি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ থেকে নাম প্রস্তাব না করায় দলের অভ্যন্তরে আইভির অবস্থান নড়বড়ে বলে মন্তব্য করেছেন কেউ কেউ। ভোটের রাজনীতিতে আইভি সুপার হিট কিন্তু দলীয় রাজনীতি তিনি সুপার ফ্লপ এমন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে।
দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচন না করার কথা বলেছেন আইভি। অপরদিকে তার প্রতিপক্ষরাও বলেছেন, দল যাকে মনোনয়ন দেয় তাকেই মেনে নেবেন।